তুষার ভট্টাচার্য
চাটমোহর, পাবনা
পাবনার চাটমোহর উপজেলার হান্ডিয়াল-হামকুড়িয়া থেকে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কের ১৮ কিলোমিটারের শাখা সড়ক জুড়ে দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে এই পথ দিয়ে চলাচলকারী লক্ষাধিক মানুষের যাতায়াত ও কৃষক তাঁদের উৎপাদিত পণ্য পরিবহন করতে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। এছাড়াও মাঝে মধ্যে অটোরিকশা উল্টে গিয়ে ঘটছে দুর্ঘটনা। এর মধ্যে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পাবনা সদর, আটঘরিয়া, চাটমোহর, ভাঙ্গুড়াসহ কয়েকটি উপজেলার সঙ্গে ঢাকায় যোগাযোগের বিকল্প পথ হিসেবে ব্যবহৃত হয় এই আঞ্চলিক সড়কটি। সড়কটির ফলে এইসব উপজেলায় মানুষদের ঢাকায় যেতে প্রায় দুই ঘণ্টা সময় সাশ্রয় হয়। এছাড়াও চলনবিল থেকে মাছ ও কৃষিপণ্য পরিবহনেও যথেষ্ট ভূমিকা রাখছে আঞ্চলিক মহাসড়কটি। কিন্তু বর্তমানে সড়ক সংস্কার বন্ধ থাকায় সড়কজুড়ে খানাখন্দ ও অসংখ্য ছোট বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে মানুষ ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। এই সড়ক দিয়ে চলাচলকারীদের অভিযোগ, ঠিকাদার ও সড়ক বিভাগের গাফিলতির কারণেই লক্ষাধিক মানুষ দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।
পাবনা জেলার সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চাটমোহর থেকে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক পর্যন্ত ১৮ কিলোমিটার সড়ক। চলতি বছরের জুলাই মাসে এই সড়কের চাটমোহর জার্দিস মোড় থেকে হান্ডিয়াল পর্যন্ত ১৬ কোটি টাকা বরাদ্ধে প্রায় ১২ কিলোমিটার সড়ক সংস্কারের কাজ শুরু হয়। চাটমোহর বাজারের জারদিস মোড় থেকে সড়ক ও জনপথ বিভাগের সড়কটি সংস্কারকাজ শুরু করেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সিরাজগঞ্জের টুর্ণা এন্টারপ্রাইজ। এ কাজের সময়সীমা ফেব্রুয়ারি ২০২৫ পর্যন্ত থাকলেও এখন পর্যন্ত ১০ ভাগ কাজও শেষ হয়নি।
সরেজমিনে দেখা যায়, চাটমোহর পৌর শহরের জারদিস মোড় থেকে শুরু করে কুজোড় মোড় এলাকা পর্যন্ত প্রায় পাঁচ কিলোমিটার সড়কের পুরোনো কার্পেটিং তুলে ফেলা হয়। সড়কের দুই পাশে বেজওয়াল নির্মাণ করে রাস্তায় ফেলা হয় বালু ও পাথর। এর পরই বন্ধ হয়ে যায় কাজ। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে ওই এলাকার মানুষ। ধুলার আস্তরণে ঢাকা পড়েছে রাস্তা।
পথচারী জাহিদ হাসান জুয়েল জানান, ‘সড়কের কাজ শুরু দেখে ভাবলাম পথচারীদের কষ্টের দিন শেষ হবে, জনদূর্ভোগ লাগব হবে। এখন দেখছি আগের ভাঙ্গাচোরা রাস্তাই ভালো ছিল। তবুও এমন ধুলো উড়ত না।’
মিনি ট্রাকচালক হাবিবুর রহমান শিমুল বলেন, জীবিকার তাগিদে প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে হয়। ছোট-বড় গর্তের ওপর দিয়ে চলাচল করতে খুবই সমস্যা হচ্ছে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগর পাবনা’র নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল মনসুর আহমেদ চাটমোহর-হান্ডিয়াল-হামকুড়িয়া আঞ্চলিক সড়ক সংস্কারকারের কাজ ফেলে টিকাদার লাপাত্তা সত্যতা শিকার করেন। তিনি বলেন, কয়েক বার সতর্ক করার পরও ঠিকাদার কাজ শুরু করেননি। শেষবারের মতো ঠিকাদারকে জানানো হয়েছে। যদি দ্রুত কাজ শুরু না করেন তাহলে ওই ঠিকাদারের কাজ বাতিলের জন্য সুপারিশ করা হবে।
Leave a Reply