
বিশেষ প্রতিনিধিঃ এ যেন মগের মুল্লুক যাহা বলিব তাই শুনতে হবে বিষয়টি এমন হয়ে দাড়িয়েছে, তেমনই ভাবে বাস মালিকের কাছে মাসে ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করে ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রানু । চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় বাস পুড়িয়ে দিলো সে ও তার সহযোগীরা। ঘটনাটি ঘটেছে পাবনা সদর থানাধীন মালিগাছা ইউনিয়ন ৭ নং ওয়ার্ড শঙ্করপুর গ্রামে। অভিযুক্ত রানু বিশ্বাস একই ইউনিয়নের রুপুপর গ্রামের রশিদ বিশ্বাসের ছেলে। তিনি মালিগাছা ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক।
বাস মালিক এনামুল হক টাইমস অব পাবনা কে জানান
আমার এই বাসটি পুড়িয়েছে সেটি ইশ্বরদী ইপিজেডের শ্রমিকদের আনা নেয়ার কাজে ব্যবহৃত হতো। দুই দিন আগে মালিগাছা ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রানু প্রতিমাসে বিশ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। আমি অস্বীকৃতি জানালে রাত আড়াইটার দিকে দুইটি মোটরসাইকেল যোগে রানু তার সহযোগী লিটন ও অজ্ঞাত আরো দুইজন এসে বাসে আগুন ধরিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায়। মুহুর্তেই আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। পাবনা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, মালিগাছা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও সদর থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী মোঃ জাবুল জানান রাত আড়াইটার দিকে রানু দুইটা মোটরসাইকেলে এসে বাসের গ্লাসে ভেঙে আগুন দিয়ে সাথে সাথে পালিয়ে যায়। এলাকাবাসী জানান এই সন্ত্রাসীরা ১৭ বছর কোন চাঁদাবাজি করতে পারেনি। এখন এই সুযোগে শুধু চাঁদাবাজিই নয় আমার বাড়িতেও ডাকাতি করেছে। আমরা এলাকাবাসী এর দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি চাই।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত রানু বিশ্বাস এর সাথে গণমাধ্যম কর্মীরা যোগাযোগ করলে তিনি বলেন আপনারা সঠিক তদন্ত করে সংবাদ প্রকাশ করুন তাতে যদি কিছু খরচ হয় আমি দিব, আমি সদর থানা ওসি সাহেব কেও জানিয়েছি সঠিক তদন্ত করার বিষয়ে।
মালিগাছা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সৈয়দ মুনতাজ আলী বলেন ঘটনা শোনার পরপরই সেখানে গিয়েছি এবং আমি আমার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ইউএনও স্যারকে জানাই। যে সন্ত্রাসীরা এই কাজ করেছে তারা দেশ ও দশের শত্রু।তাদের বিচার চাই।
পাবনা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহারুল ইসলাম ঘটনাস্হল পরিদর্শন কালে টাইমস অব পাবনা কে বলেন আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করছি। তদন্তের মাধ্যমে অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে রাস্টীয় ভাবে সহযোগিতা করবো।
এ বিষয়ে পাবনা জেলা যুবদলের আহবায়ক ইলিয়াস আহমেদ হিমেল রানা মুঠোফোনে বলেন আমাদের নেতা তারেক রহমানের নির্দেশ অপরাধী যেই হোক দলের যে পর্যায়েই থাক না কেন দোষী প্রমান হলে তার বিরুদ্ধে দলীয়ভাবে শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে। তিনি আরো বলেন যদি কেউ দলীয় পরিচয় ব্যবহার করে অপকর্ম চালায় সে দায় দল নিবেনা। আমরা চাই এই অপরাধী যেই হোক তাঁর বিচার হোক।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সালাম মুঠোফোনে টাইমস অব পাবনা জানান আমি জানার সাথে সাথে ঘটনাস্থলে ফোর্স পাঠিয়েছি । ভুক্তভোগী লিখিত অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। দোষী যেই হোক কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।
Leave a Reply